ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে ইরানের ‘শাবে ইয়ালদা’
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৩, ২০২১

জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) অধরা ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে ইরানের ‘শাবে ইয়ালদা’ উৎসবসহ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ও সঙ্গীত উৎসব। তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি অনুষ্ঠান ও উৎসব ‘ইয়ালদা’, ‘চাহারশানবেহ-সুরি’, ‘মেহরেগান’ এবং ‘সাদেহ’ এর পাশাপাশি আঞ্চলিক সঙ্গীত উৎসব বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিল্ক রোডের পাশাপাশি সম্প্রতি অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় উৎসবগুলোর নিবন্ধন করা হয়। যা ভবিষ্যতে ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হওয়ার পথ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশস্ত করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনেস্কো (আইসিএইচসিএপি) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং সেন্টার আয়োজিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্মুখী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং ১০ ডিসেম্বর সমরকন্দে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টাডিজে (আইআইসিএএস) উৎসবগুলো নিবন্ধন লাভ করে। সভায় ইরানের আঞ্চলিক সঙ্গীত উৎসবকে একমাত্র সঙ্গীত উৎসব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৪ বছর ধরে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে কুর্দি, লোরি, বখতিয়ারি, তুর্কমেন, বেলুচি, কাশকাই, খোরাসানি, গিলাকি, মাজানদারানির মতো কয়েক ডজন বিভিন্ন ধরনের ইরানি সঙ্গীতকে একত্রিত করা হয়। উল্লেখ্য, ইরানে প্রতিবছর ২১ ডিসেম্বর জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় বছরের দীর্ঘতম রাত ‘শাবে ইয়ালদা’। ইরানি পরিবার ও বন্ধুদের একত্রে কিছু মূল্যবান সময় কাটানোর একটি সোনালি রাত হিসেবে এটি পালিত হয়। এদিন দেশটিতে সবাই মিলে ধুমধাম করে বছরের দীর্ঘতম রাত উদযাপন করে। শীতের দীর্ঘতম এই রাতে পরিবারগুলো সমবেত হয়ে কবিতা এবং উৎসবে মেতে ওঠে। সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী তরতাজা ফলমূলের সমাহার তো রয়েছেই। করুণাময় এই রাতে ফারসিদের কাছে শীতকালীন শীতলতা যেন পরাজিত হয়। ভালোবাসার উষ্ণতা গোটা পরিবারকে আলিঙ্গন করে। আত্মাগুলো একে অপরের আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে ভালোবাসা বিনিময়ে মেতে ওঠে। সূত্র: তেহরান টাইমস।