আরদেবিলের ভয়ঙ্কর কাচের সেতু ভ্রমণে অসাধারণ অভিজ্ঞতার হাতছানি
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ১১, ২০২০

আপনি কি মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য আর দর্শনীয় স্থানে ভরা ইরানের আরদেবিল প্রদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক। তাহলে আপনার জন্য অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। প্রদেশটিতে ঘুরতে গিয়েছেন অথচ সেখানকার ভীতিকর অথচ দেখার মতো ঝুলন্ত কাচের সেতু ভ্রমণ করবেন না তা হতে পারে ? আর এই সুযোগ হাতছাড়া করা কোনোভাবেই উচিত হবে না। সাধ্যের মধ্যে কম খরচে আবিষ্কার করতে পারবেন আকর্ষণীয় একটি স্থান।
কাচের বাঁকা পাত দিয়ে সদ্যনির্মিত সেতুটি ২২০ মিটার দীর্ঘ। এটি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আরদেবিল প্রদেশের হির জেলার দুটি পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক দৃশ্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান ও অতিথিপরায়ণ মানুষের জন্য অঞ্চলটি সুপিরিচিত।
গত জানুয়ারিতে ইরোনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, হস্তশিল্প ও পর্যটনমন্ত্রী আলি-আসগার মুনেসান কাচের ঝুলন্ত সেতুটি উদ্বোধন করেন। বলা হচ্ছে, বিশ্বে এই ধরনের সেতু এটাই প্রথম।
বহু সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানের কেন্দ্রস্থল আরদেবিল। শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক পর্যটনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতি বছর দেশ ও দেশের বাইরে থেকে হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন এখানে।
আরদেবিল প্রদেশ পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা গড়ে ৩ হাজার মিটার। শীতকালে এখানে ঠাণ্ডা ও গ্রীষ্মকালে শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে।
ইরানি এই প্রদেশটির রাজধানীর নামও আরদেবিল। ফারসি ঐতিহাসিকদের মতে, আরদেবিল সাসানি আমলে প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ওই অঞ্চলের সুপরিচিত ইতিহাস ইসলামি যুগের আগে শুরু হয়নি। স্থানটিতে তৎকালীন সাসানি গভর্নরের বাসভবন ছিল। উমাইয়া গভর্নর আরদেবিলকে রাজধানী করেন। তবে আরব শাসকরা বেশিদিন ওই অঞ্চলে স্থায়ী হননি।
১২২০ সালে মোঙ্গলদের আক্রমণের আগ পর্যন্ত অঞ্চলটি স্থানীয় শাসকরা ধারাবাহিকভাবে শাসন করেন। মোঙ্গলদের আক্রমণে পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ১৩ শতাব্দীতে সুফি অতীন্দ্রি়য়বাদী শেখ সাফি আল-দিন এটি সাফাবিদ শাসনের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেন। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত শহরটি সব দিক থেকে গুরুত্ব হারায়। সূত্র: তেহরান টাইমস।