লেডি আল কায়দার ১৫ বছরের সাজা
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১০, ২০১৫
সৌদি আরবের জেদ্দার এক আদালত দেশটির এক নারী আল কায়দা সদস্যকে ১৫ বছরের সাজা দিয়েছে। হাইলা আল কাসের আল কাসের নামের এই নারী সৌদিতে ‘লেডি আল কায়দা’ নামে পরিচিত।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্থের যোগান, সামরিক বাহিনীর সমাবেশে বোমা হামলার চেষ্টা, যুদ্ধ অঞ্চল দিয়ে সরকারের অনুমতি না নিয়ে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা, কারাগার থেকে পালানো ও বিদেশে গিয়ে যুদ্ধ করার চেষ্টার কারণেই তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তা আল কায়দার এই নারী সদস্য তার নিজের ভুল শিকার করে দুঃখ প্রকাশ করে করেছেন। তার ভাষায়, আমি ভুল আদর্শে নিজেকে জড়িয়েছিলাম। ভুল প্রচারণায় মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলাম। সৌদির বিচার বিভাগ আমার প্রতি সহনশীলতা দেখিয়েছে। আমি আশা করেছিলাম আমার অন্তত ৩০ বছরের কারাদণ্ড হবে।
কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা সম্পর্কে কাসের বলেন, আমি শুনেছিলাম কারাগারে আল কায়দার নারীদের ধর্ষণ করা হয়। আমার মুখ থেকে সত্য তথ্য বের করা হতে পারে একথা ভেবে ধর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যই পালাতে চেয়েছিলাম। আল কায়দা আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছিল। দেশ ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আল কায়দা আমাকে ভুল তথ্য দিয়েছিল।
কাসের আরো বলেন, আমাকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল আল কায়দা। বিচারের রায় শোনার পরে আর কান্না রাখতে পারিনি। আমি যে সন্ত্রাসী সংগঠনের পথ বেছে নিয়েছিলাম তা সঠিক ছিল না। সাজা ভোগ করে আমাকে তার মূল্য দিতে হবে। এই সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়ে আমি আমার যৌবনকে হারিয়েছি। আমার কন্যাটি হারিয়েছে তার মাকে। স্বামী হারিয়েছে তার স্ত্রী।
হাইলা আল কাসের এই নারীই সৌদির প্রথম নারী অপরাধী যিনি সন্ত্রাসী আল কায়দার সদস্য হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হলেন। এবং দীর্ঘ মেয়াদের সাজা পেলেন। সূত্র: আরব নিউজ