মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনীতির পরাশক্তি হতে যাচ্ছে ইরান
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ৭, ২০১৬
ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পর পরিবর্তিত অর্থনৈতিক গতিশীলতা দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফিকা অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত করবে। রাজনৈতিক ঝুঁকি ও ভূ-রাজনীতি বিবেচনা সত্ত্বেও ইরান খুব শীঘ্রই এধরনের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করবে বলে আভাস দিচ্ছে বিখ্যাত অনলাই প্রকাশনা সংস্থা গ্লোবাল রিস্ক ইনসাইটস। এ প্রকাশনা সংস্থাটি বলছে ২০২৫ সালের মধ্যে ইরান এ সক্ষমতা অর্জন করবে। পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সমঝোতা ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে ভারসাম্যপূর্ণ শক্তিধর দেশে পরিণত করছে। যা আন্তর্জাতিক দাঙ্গাহাঙ্গামার মধ্যেও দেশটিকে নিরাপদে অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ধাবিত করবে।
ইরান ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এখন অবরোধ প্রত্যাহার হওয়ায় আইএমএফ বলেছে, ইরানের জিডিপি খুব স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ইরানের আটক অর্থসম্পদের মূল্য দেড়শ’ বিলিয়ন যা ফেরত পেলে তা ইরানের বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরো গতি দেবে। ইতিমধ্যে ইরান ৫০ বিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছে।
একই সঙ্গে ইরানের তেল উত্তোলন দিনে ১৫ লাখ ব্যারেল পৌঁছালে এবং তেলের দর পরিবর্তিত হলে তা দেশটির জন্যে আরো সহায়ক হয়ে উঠবে। বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগে ইরানের বৈচিত্র আনার ক্ষমতাও রয়েছে যথেষ্ট। রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জালানি মজুদ যা ধীশক্তি ও মেধার সঙ্গে ইরান এমনভাবে ব্যবহার করবে তাতে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তি আরো স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
ভূরাজনৈতিকভাবে ইরান কখনোই হাঙ্গামায় জড়াবে না। এছাড়া দেশটির অভ্যন্তরীন সুশাসন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল বলে ইউরোপ, চীন, আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারতসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলো দেশটিতে বিনিয়োগে ছুটছে যা ইরানকে অর্থনৈতিক পরাশক্তির আসল গন্তব্যে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন