পর্দা নামল রিও অলিম্পিকের, পরবর্তী আসর টোকিওতে
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২২, ২০১৬
ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে আড়াই ঘণ্টার জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে পর্দা নামল রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকের। ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেটের পদচারণায় মুখরিত হয়ে থাকা রিও অলিম্পিক ভিলেজের কোলাহল শেষে শুরু হল আবারো চার বছরের প্রতীক্ষা। ২০২০ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী অলিম্পিক। পরবর্তী আয়োজক শহরের কাছে মশালও হস্তান্তর করেছে রিও।
রোববার ব্রাজিলের স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে রিও অলিম্পিকের বর্ণিল সমাপনী অনুষ্ঠান। আতশবাজি জ্বালিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একে একে মারাকানার বুকে ফুটে ওঠে ব্রাজিলের শিল্প-সংস্কৃতি-সংগীত। তার পরই নিজ নিজ দেশের পতাকা হাতে মাঠে নামেন প্রতিযোগীরা, মেতে ওঠেন উৎসব উদযাপনে। রিও অভিযান শেষে টোকিওর গভর্নরের হাতে অলিম্পিকের পতাকা তুলে দেয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
আধুনিক অলিম্পিকের ৩১তম আসরে এবার ৪৬টি স্বর্ণ পদকসহ মোট ১২১টি পদক নিয়ে রিও অলিম্পিকের শীর্ষস্থানটি যুক্তরাষ্ট্রের। ২৬টি সোনা জেতা চীনকে পেছনে ফেলে ২৭টি স্বর্ণ পদকসহ মোট ৬৭টি পদক নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন তাদের রিও মিশন শেষ করেছে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে। ২৬টি স্বর্ণ পদকসহ ৭০টি পদক নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়া ও জার্মানির পদক সংখ্যা যথাক্রমে ৫৬ (১৯টি স্বর্ণ) ও ৪২ (১৭টি স্বর্ণ)।
রিও অলিম্পিকে ৩টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য এবং ৪টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের পদকগুলো আসে ভারোত্তলন, কুস্তি ও তায়কোয়ান্দো থেকে। রিও অলিম্পিকের ১৩তম দিনে তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ৫৭ কেজি ওজনশ্রেণিতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন ইরানি তরুণী কিমিয়া আলীজাদেহ জিনোরিন। এর মাধ্যমে তিনি অলিম্পিকে প্রথম কোনো ইরানি নারী হিসেবে পদক জেতার গৌরব অর্জন করেন।
দুই সপ্তাহের ক্রীড়া মহাযজ্ঞ শেষে চার বছর পরের টোকিও অলিম্পিকের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। টোকিও অলিম্পিকে নতুন পাঁচটি ইভেন্ট যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইওসি। ইভেন্টগুলো হলো- বেসবল, কারাতে, স্কেটবোর্ড, স্পোর্টস ক্লাইম্বিং ও সার্ফিং।
গত ৫ আগস্ট রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। রিওতে মোট ২৮টি ক্রীড়ায় ৩০৬টি স্বর্ণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিশ্বের ২০৭টি দেশের মোট ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিট।