নিউক্লিয়ার ফিউশন এনার্জি প্রকল্পে যোগ দিতে চাইছে ইরান
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ১০, ২০১৬

ইরান নিউক্লিয়ার ফিউশন বা নিউক্লিয়ার সংযোজনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পে অংশ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করছে। বিশেষ ধরণের পরমাণবিক বিক্রিয়াকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বা নিউক্লিয়ার সংযোজন বলা হয়।
এ বিক্রিয়ার ফলে দু’টি হাল্কা পারমাণবিক নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে একটি ভারি নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। পাশাপাশি তৈরি হয় বিপুল শক্তি। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিদ্যা দিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো মারণাস্ত্র তৈরি করা যায় না। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া এর সামরিক ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রয়োগ নেই।
প্লাজমা পর্দাথবিদ্যার ক্ষেত্রে তেহরানের ব্যাপক সক্ষমতা রয়েছে এবং এ বিজ্ঞানকে পুঁজি করতে চাইছে ইরান। পর্দাথ কঠিন, তরল এবং বায়বীয় এ তিন অবস্থায় সাধারণ ভাবে থাকে। এ ছাড়াও প্লাজমা নামে পরিচিত পর্দাথের আরেকটি অবস্থা আছে এবং একে পর্দাথের চতুর্থ অবস্থা হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। পর্দাথের এই কথিত চর্তুথ অবস্থায় মুক্ত ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক আয়ন এর সংখ্যা প্রায় সমান অবস্থায় বিরাজ করে।
ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর বা আইইটির’এর হিসাব অনুযায়ী ইরানে প্রায় একশ প্লাজমা পর্দাবিদ আছেন। এ ছাড়া নিউক্লিয়ার ফিউশনেরে সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে ডক্টরেটধারী প্রায় দেড়শ বিজ্ঞানীও আছেন ইরানে।
আইইটিআর’এর প্রকল্পে ইরানের অংশ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনার জন্য ইরানের পরমাণু শক্তি প্রধান আলি আকবর সালেহি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সোরেনা সাত্তারি সম্প্রতি ফ্রান্সের পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্র কাদারাশে সফর করেছেন। সালেহি বলেন, আইইটিআর’এ ইরানের যোগ দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইরানের সম্ভাব্য সদস্য হওয়ার বিষয়কে এ সংস্থার অন্য সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: পার্স টুডে