সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

দুর্যোগকে নিয়ামতে পরিণত করতে হবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২০, ২০১৭ 

news-image

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের লক্ষ্যে কেরমানশাহ প্রদেশ সফরে গেছেন। ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই প্রদেশের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সারপোল জাহাব এলাকায় গিয়ে তিনি কাজের অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দায়িত্বশীলদের কর্মতৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তৎপরতা ভালোই ছিল। ভূমিকম্পের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সেনাবাহিনী শহরে এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) গ্রামে দৌড়ে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। কিন্তু এটুকুই যথেষ্ট নয় বলে সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করে বলেন, বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীলদের আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।

জনগণের উদ্দেশে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, খুব ইচ্ছে ছিল দুঃখ দুর্দশাহীন আনন্দঘন সময়ে তোমাদের কাছে আসবো, এই কঠিন বিপদে বিষন্ন, নিরানন্দ, শোকাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে নয়।

সর্বোচ্চ নেতা পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে কেরমানশাহবাসীর বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “তোমাদের এই শহর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময়ও আক্রান্ত হয়েছিল। তখনও তোমরা বীরত্ব, সাহসিকতা এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছো, এবারও দেবে বলে আমি আশা করি। ভূমিকম্প একটা বড় রকমের মুসিবত, সবকিছু ধূলিস্মাৎ করে দেয়। কিন্তু সেদিন তোমরা যেভাবে আগ্রাসীদের পরাস্ত করেছো, প্রাকৃতিক এই দুযোর্গও সেভাবে মোকাবেলা করে বিপদকে নিয়ামতে পরিণত করে তুলতে পারবে। তোমাদের এই দুর্যোগে সমগ্র জাতি মর্মাহত, সবার সহানুভূতিশীল মন তোমাদের এই কেরমানশাহে পড়ে আছে। দেশের মানুষ দায়িত্বশীলতার সাথে যে যার সামর্থ অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।”

গত ১২ নভেম্বর ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ৪৩৭ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি হয়। এ ছাড়া, এ ভূমিকম্পের ফলে আহত হয়েছেন ১০ হাজার ২০৩ জন।-পার্সটুডে |