তেহরানে শিশু দত্তক নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ৪, ২০১৮

বিগত ফারসি বছরে (১৩৯৬) আগের বছরের (১৩৯৫) তুলনায় তেহরানে শিশু দত্তক নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ। তেহরানের ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক উপপ্রধান আহমাদ খাকি এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা ইসনা আহমাদ খাকির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত বছর তেহরানের বাসিন্দারা ৫শ’ শিশু দত্তক নিয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি এবং ফারসি ১৩৯৪ সালের তুলনায় যা ৭০ শতাংশ বেশি। শিশু দত্তকের জন্য ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে সর্বমোট ৩ হাজার ৬শ’ ব্যক্তি নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছেন খাকি। ইরানি এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দত্তক নেয়া শিশুদের ৬০ শতাংশই ছেলে।
ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, দত্তক নেয়া এসব শিশুর মধ্যে ১৮৪ জন বিভিন্ন রোগে ভুগছে। এই ধরনের শিশুদের দত্তক নেয়ার প্রবণতা ইরানিদের মাঝে একটি প্রসংশনীয় দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
ইরানের ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের তথ্যমতে, ইরানে দত্তক নেয়ার জন্যে বিদ্যমান পুরনো আইন আরো সহজ করা হয়েছে। এজন্যে ৪৪ বছরের পুরোনো এ আইন ২০১৩ সালে সংস্কার করা হয়। নতুন আইন অনুসারে ষোল বছরের ছেলে মেয়েকে দত্তক নেয়া যাবে। এর আগে এধরনের শিশু দত্তক নেয়ার জন্যে বয়স সীমা নির্ধারিত ছিল ১২ বছর। এছাড়া যাদের সন্তান নেই এমন পরিবার ছাড়াও যাদের একটি সন্তান রয়েছে বা একা থাকেন এমন নারীও শিশুদের দত্তক নিতে পারবেন। একই সঙ্গে শুধু এতিম খানা নয়, বিপর্যস্ত কোনো পরিবারের শিশুকে দত্তক নেয়া যাবে। তবে আদালত শিশু দত্তক নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি যথেষ্ট রয়েছে কি না তা বিবেচনা করে। সূত্র: তেহরান টাইমস।