টানা অবরোধ সত্ত্বেও ইরান নানা ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা বজায় রেখেছে: মেনন
পোস্ট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

ইরানের ইসলামি বিপ্লব থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মুসলিম বিশ্বকে ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের মধ্যে ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ৩৮তম বিজয়বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলানায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি এ সময় ইরানি নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, টানা অবরোধের মধ্যে থেকেও ইরান তার সাহস ও ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে এবং নানা ক্ষেত্রে তাদের অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও ঢাকাস্থ ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আখতারুজ্জামান খান।
“ইরানে ইসলামি বিপ্লবের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ”- শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান সৈয়দ মূসা হুসাইনি বেলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নেতৃত্বে ইরানের ইসলামী বিপ্লব কেবল সে দেশের অভ্যন্তরীণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন ঘটায়নি, একইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক পরিবর্তন ও বিস্ময়কর প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আজ ইসলামের নামে দেশে দেশে সন্ত্রাসবাদের যে সমস্যা তার বিরুদ্ধে ইরানই প্রথম থেকে সোচ্চার থেকেছে। তাদের উঁচু নৈতিকতা ও ইসলামি সাম্যবাদের বাণী আজ বিশ্বকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পাঁচদিনব্যাপী ইরানী চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলায় ডাবিংকৃত ইরানি চলচ্চিত্র “গোলহায়ে দাউদী” (যে ফুল ফোটেনি) প্রদর্শিত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলবে। কোনো প্রবেশমূল্য ছাড়াই প্রতিদিন দু বার (সকাল ১১ টা ও বিকাল ৩টায়) এ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।