ওআইসি-কে অবশ্যই ইসরাইলি দখলদারিত্বের জবাব দিতে হবে: ইরান
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২, ২০১৭
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসিকে তার প্রধান লক্ষ্য থেকে কখনই বিচ্যুত হওয়া চলবে না। এ সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো- ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
জাওয়াদ জারিফ বলেন, “মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জোরদার, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং আল-কুদসকে রাজধানী করে স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা হচ্ছে ওআইসি’র প্রধান লক্ষ্য।” তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ওআইসি’র বিশেষ বৈঠকে জাওয়াদ জারিফ এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের চলমান আগ্রাসী তৎপরতার বিষয়ে আলোচনা করতে এ বৈঠক ডাকা হয়।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এজেন্ডা ইহুদিবাদী ইসরাইল ঠিক করে দেবে কিংবা অপরাধ করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদেরকে বিভক্ত করার জন্য নতুন ইস্যু তৈরি করে দেবে -এ ধরনের সুযোগ আমরা অবশ্যই ইসরাইলকে দিতে পারি না।”
জারিফ আরো বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাধে বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ওপর ইসরাইলের অপরাধমূলক পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দায়িত্ব রয়েছে। এসব বক্তব্যের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতা, সেখানকার জনসংখ্যার হার পাল্টে দেয়ার ইসরাইলি চক্রান্ত ও পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমস্ত অনুরোধ উপেক্ষা করে চলেছে ইসরাইল।
জাওয়াদ জারিফ বলেন, গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উপেক্ষা করাও মুসলিম বিশ্বের উচিত হবে না। ২০০৭ সাল থেকে এসব মুসলমান ইসরাইলের অবরোধের আওতায় রয়েছেন এবং তারা সুপেয় পানি, ওষুধ ও জ্বালানির মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারছেন না। তিনি গাজা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ মানবীয় অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেন। – পার্সটুডে