ইরানে রাশিয়ার আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২৭, ২০১৫
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2015/10/ImageProxy-2.jpg)
ইরানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুশেহরে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
রাশিয়ার ৫০টি কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে ২ দিন ব্যাপি ইরানের রাজধানী তেহরান সফর শেষে রাশিয়া ফিরে এ ঘোষণা দেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ‘রোশিয়া টুয়েন্টি ফোর’ এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ইরান ও রাশিয়া যৌথভাবে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছে।
২০১৪ সালে ইরানের পারমাণবিক সংগঠনের সাথে করা এক চুক্তি অনুসারে দেশটির শহর বুশেহরে রোসাটম নামের একটি ১ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে রাশিয়া। দেশের বাইরে এটি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
এর আগে ২০১১ সালে পারস্য উপসাগরের উপকূলে ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করে রাশিয়া। প্রকল্পটি প্রস্তুত হতে সময় লাগবে তিন দশক।
নোভাক আরও বলেন, ইরানের সাথে তেল চুক্তির আওতায় কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ান গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রোম এর গ্যাস বিনিময়ের প্রস্তাবের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
তুর্কমেনিস্তানের সাথে ইরানের এ ধরনের একটি প্রকল্প রয়েছে। ইরান তার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ব্যবহারের জন্য তুর্কমেনিস্তান থেকে গ্যাস আমদানি করে থাকে।
নোভাক বলেন, ইরানের সাথে যৌথ এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে বিদ্যুৎভিত্তিক রেলওয়ে স্থাপনের কাজও। এতে ব্যয় হবে ৪.৫ বিলিয়ন ইউরো। এছাড়া ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আরও একটি আধুনিক স্টিম পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করা হবে।
রাশিয়ার তেল কোম্পানি জারুবেঝনেফট একাই ৬ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ। এছাড়াও শিল্প বিষয়ক যন্ত্রপাতি, হেলিকপ্টার এবং সুখই সুপার জেট বিমান সরবরাহের বিষয়ও প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার বিমান এজেন্সি স্পুটনিক জানায়, রাশিয়ার কাছে স্যাটেলাইট যন্ত্রপাতি এবং বিমান কেনার জন্য ২১ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে ইরান।
এ চুক্তির আওতায় স্যাটেলাইট যন্ত্রপাতি ছাড়াও যাত্রীবহনকারী সুখই সুপারজেট হান্ড্রেড বিমান কিনবে ইরান।
সূত্র : প্রেস টিভি।