ইরানের নাতাঞ্জে পুতুলের যাদুঘর
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ১৮, ২০১৬

হাতে তৈরি পুতুলের যাদুঘর সবাইকে অবাক করে দেবে। ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশের ছোট শহর নাতাঞ্জে ১৫ এপ্রিল এধরনের যাদুঘর যাত্রা শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, এ যাদুঘরের স্থপতি ড. মোহাম্মদ রাঘোশেহ যিনি তার ৩৪টি ডলহাউজ থেকে অন্তত দেড়’শ পুতুল এ যাদুঘরে দিয়েছেন। আর যাদুঘরটি তারই নামে নামকরণ করা হয়েছে। রাঘোশেহ একজন প্রখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ এবং ইরানের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর তিনি একজন সংগ্রাহক। এ আগ্রহ থেকেই ১৯৯৩ সালে ড. রাঘোশেহ তার বাড়িটি ঐতিহ্যবাহী পণ্যের এক বিরাট সংগ্রহশালায় পরিণত করেন। এরপর পুরানো ও নতুন ধরনের পুতুল তৈরি কিংবা সংগ্রহ করে তিনি এক যাদুঘর স্থাপন করেন। এসব পুতুল তৈরিতে ফেব্রিক, সুতি, কাঠসহ নানা উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
রাঘোশেহ তার পুতুলগুলোর পরিচয়সহ একটি ক্যাটালগ তৈরি করেছেন। তিনি মনে করেন পুতুল নানা সমাজের জীবন যাত্রার এক বিচিত্র পরিচয় বহন করে। এধরনের পুতুলগুলো সমাজের নানা ধর্ম, বর্ণ আর ঐতিহ্যের মূল্যবান দিকগুলো ধারণ করে। এমনকি পুতুল তৈরি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায় বলেও রাঘোশেহ জানান। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন