ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় ইরানি রুটি ‘লাবশ’
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
জাতিসংঘের ‘জীবনঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে’র তালিকায় স্থান পেয়েছে ইরানের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত, নরম ও পাতলা রুটি ‘লাবশ’ ।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ‘স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় কমিটির ১১তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান, কিরগিজস্তান ও কাজাখস্তান যৌথভাবে লাবশ, কাতরিমা, উপকা ও জুপকা রুটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি উপস্থাপন করে। ইউনেস্কোর কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে এই রুটিগুলোকে ‘ইনটেনজিবল’ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করে।
ইরানের‘লাবশ’ রুটি তৈরি হয় মেশিনে। ফলে একই রকম সাইজ ও আকৃতির হয়। মেশিনে রুটি তৈরির কারণে খুব দ্রুত কাজ এগিয়ে যায়। রুটির কারিগর হিসেবে কাজ করা দুই ব্যক্তিকে তাই ব্যস্ত থাকতে হয় অনেক বেশি। একজন রুটি তৈরি করছেন আরেকজন সেই রুটি তুলে তাওয়ায় দিচ্ছেন। নিচে গ্যাসের চূলার ওপর তাওয়াটি ঘুরতে থাকে আর কারিগরকে খুব দ্রুত সে রুটি তুলে নিতে হয়।
পাতলা হওয়ায় বেশিক্ষণ রাখার সুযোগ নেই; পুড়ে যাবে। এ রুটি সকালের নাস্তায় যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনি দুপুরে ভাতের সঙ্গেও ইরানের লোকজন অনেকে খেয়ে থাকে। লাবশ যেখানে বানানো হয় তার আশপাশে আলাদা রকমের মিষ্টি ঘ্রাণ মৌ মৌ করে। নুনে লাবশ বাসায় এক-দু’দিন রেখেও খাওয়া যায়; নষ্ট হয় না। ইরানের আবহওয়া অতিমাত্রায় শুষ্ক হওয়ার কারণে কোনোকিছু সহজে নষ্ট হয় না বা পঁচে না। – পার্সটুডে